ভবিষ্যত নিয়ে পরিকল্পনা করে লাভ নেই। আল্লাহর পরিকল্পনাই বাস্তবায়িত হবে। মিশরের রাজপুত্র রূপে বেড়ে উঠা যুবক ভবিষ্যত নিয়ে কি পরিকল্পনা করেছিলেন জানি না। তবে তিনি ভেড়া চরানোর পরিকল্পনা করেননি নিশ্চয়ই। অথচ আল্লাহ তাকে মেষপালকই বানিয়ে দিলেন। দরিদ্র মেষপালক হিসেবে সুন্দর সংসার করছিলেন – কিন্তু আল্লাহ একদিন ডেকে বললেন ফেরাউনের কাছে গিয়ে বল দাসদের মুক্ত করে দিতে। মনে মনে তিনি চিন্তিত হয়ে পড়লেন। আল্লাহ বললেন চিন্তা করো না মুসা। আমি আছি সাথে। তারপর থেকে তিনি আর চিন্তা করেন নি। মুসা আ. এর কথা কোরানে এতবার এতভাবে এসেছে যে আর কোন নবী রাসূলের কথা এমন আসেনি। ওনার সারাটা জীবন ছিল উত্থান পতনের। যেদিন আল্লাহ তাঁকে বললেন রাতের অন্ধকারে দাসদের নিয়ে পালিয়ে যাও। সেই কথা অনুযায়ী পালানোর পরদিন সবাই দেখল ফেরাউন চলে এসেছে। সমানে সাগর পিছে ফেরাউন। একেবারে হাতে নাতে ধরা।
সবাই মুসা আ. এর দিকে তাকিয়ে রইল। তাঁকেই দোষ দিতে লাগলো! নবীর অবস্থা তখন চিন্তা করেন। যেখানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন উদ্ধারের সেখানে এ কি অবস্থা। কিন্তু এই কঠিন পরিস্থিতিতেও তিনি শান্ত থাকলেন। হতাশ হয়ে বললেন না “আল্লাহ আপনি রক্ষা করার কথা বলে এ কেমন বিপদে ফেললেন।”
অস্থির জাতির স্থির প্রতিনিধিকে তখন আল্লাহ বললেন – মুসা, লাঠি দিয়ে সমুদ্রে আঘাত কর। মাশাল্লাহ, সাগর দুই ভাগ হয়ে গেল। এবার ভাবুনতো, একজন নিষ্পাপ নবীকে যদি আল্লাহ এত উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে পার করাতে পারেন, আপনাকে আমাকে কেন করবে না? তাই জীবন নিয়ে সব দুশ্চিন্তা বা পেরেশানি ছেড়ে দিন। আপনার কাজ মেনে নেওয়া। নিশ্চিত মনে রবের হুকুমই মেনে নিন। পরিকল্পনা করার জন্য তিনিই যথেষ্ট।