আপনারা যারা গ্রামে বা মফস্বলে থাকেন তাদেরকে একটি ভালো কাজের পরামর্শ দেই।
যেখানে সেখানে প্লাস্টিক আবর্জনা ফেলবেন না। এখন বিষয়টি আপনাদের কাছে খুব স্বাভাবিক মনে হতে পারে। কিন্তু মাটি দূষণের প্রভাব অনেক খারাপ। আপনি যেই প্লাস্টিক মাটিতে এবং পানিতে ফেলছেন তা ছোট ছোট কণাতে বিভক্ত হয়ে আমাদের খাবারে, ফল মূল, মাছ ইত্যাদিতে প্রবেশ করে। প্লাস্টিকের প্রভাবে আপনার শরীরে ক্যান্সার হতে পারে এবং প্রজনন ক্ষমতা কমে আসতে পারে। আপনারা সবাই কাউকে না কাউকে ক্যান্সারে মরতে দেখেছেন। দেখেছেন না?
কিন্তু মাত্র বিশ বছর আগে কি এমন ছিল?
এখনও কিছু কিছু এলাকাতে ক্যান্সারের প্রভাব কম। খেয়াল করে দেখবেন সেই এলাকা গুলো একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় যেমন পাহাড়ের ভিতরে বা দ্বীপে। অনেকে মনে করেন যে তাদের ক্যান্সার হয় কিন্তু বুঝে না। ব্যাপারটি এমন নয়। সমস্যা হচ্ছে আমরা বেশি অসুস্থ হই দেখে বেশি ডাক্তার আমাদের চারপাশে থাকে, হাসপাতালে বেশি যাই এবং মনে করি পৃথিবীর সবাই আমাদের মত অসুস্থ। কিন্তু ব্যপারটি এমন না।
এই কথা সত্য যে সরকার এখনও গ্রামে পরিবেশ দূষণ নিয়ে সচেতন হয় নাই। গ্রামে সিটি কর্পোরেশন এর মত পরিষ্কার করার কর্মী নেই, টোকাই নেই, ডাস্টবিন নেই, ড্রেন নেই কিছুই নেই। কিন্তু সেখানে প্লাস্টিকের পণ্য বিক্রি হচ্ছে। পলিথিনে সদাই করছে, প্যাকেজিং করছে। হাসপাতাল তৈরি হয়ে খুব ক্ষতিকর বর্জ্য নিঃসরণ হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতি তে নিক্ষেপ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
কতটা পরিকল্পনা বিহীন কাজ।
এখন দূষণ যেই হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে শীঘ্রই গ্রাম পরিষ্কার করতে ব্যপক খরচ করতে সরকার বাধ্য হতে পারে। তখন আপনি বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ পাবেন। আর যদি নাও পান আল্লাহর কাছে তো ভালো কিছু পাবার আশা করতে পারেন।
তাই প্লাস্টিক মাত্রই চুলাতে পুড়িয়ে ফেলবেন। মানুষকে এই ব্যাপারে সচেতন করবেন। বাজার এলাকাতে প্লাস্টিক বর্জনের যেই পাহাড় জমে তা সাফ করতে এলাকার প্রতিনিধিদের নিকট আবেদন করবেন, পারলে পুড়িয়ে ফেলবেন। মানুষকে এই ব্যাপারে বুঝাবেন এবং এলাকার মুরূব্বিদের সাহায্য চাইবেন, তারাও যেন সবাইকে বুঝায় সেই অনুরোধ করবেন।
সবশেষে আপনার এলাকাকে অত্র অন্ঞলে সবচেয়ে পরিষ্কার এলাকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরে আনন্দ বোধ করবেন। আমরাও একদিন ঘুরে আসবো ইনশাল্লাহ।