ইসলামী ব্যাংক কিভাবে ঋণ দেয়?

টাকার বিনিময়ে অধিক টাকা ফেরত চাওয়া সুদ, তাই ইসলামী ব্যাংক গুলো এই পদ্ধতি এড়িয়ে চলে।

“নগদ হাতে হাতে বিনিময় ছাড়া সোনার বদলে সোনা বিক্রি, গমের বদলে গম বিক্রি, খেজুরের বদলে খেজুর বিক্রি, যবের বদলে যব বিক্রি করা সুদ হিসাবে গণ্য।” -বুখারি

কিন্তু ইসলামে ব্যাবসা হালাল। সেই কারণে ইসলামী ব্যাংক গুলো গ্রাহকের হাতে সরাসরি টাকা না দিয়ে অধিক লাভে মাল বিক্রয় করে এবং পরবর্তীতে কিস্তিতে টাকা ফেরত চায়। বহুল ব্যাবহৃত এই পদ্ধতির নাম মুরাবাহা।

অন্যান্য ব্যাংক যেখানে আপনাকে ১ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে ৫ বছরের কিস্তিতে সুদে আসলে ২ কোটি টাকা ফেরত চাইবে, ইসলামী ব্যাংক সেখানে ১ কোটি টাকার ক্রয়মূল্যের মাল আপনার কাছে ২ কোটি টাকায় বাকিতে বিক্রয় করে ৫ বছরের কিস্তিতে বিক্রির টাকা ফেরত চাইবে। এভাবে সুদ এড়িয়ে তারা ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে।

একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে-মনে করেন আপনি একটি গাড়ি কিনবেন। অন্য ব্যাংক আপনাকে ২০ লক্ষ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল দুই বছরের মাথায় ৩০ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে।

আর ইসলামী ব্যাংক ২০ লক্ষ টাকার নিজে গাড়ি কিনে আপনার কাছে গাড়ি বিক্রি করে বলবে দুই বছরের মাথায় ৩০ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে।

সুচিন্তিত পাঠক মনে মনে ভাবতে পারেন সামান্য কিছু নিয়ম কানুনের কারসাজি ছাড়া এই দুয়ের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

ইসালামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়ে থাকে পার্থক্য হচ্ছে এই যে এক পক্ষ ১ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে দুই কোটি টাকা ধাপে ধাপে ফেরত চাইবে। অন্য দিকে অপরপক্ষ দুই কোটি টাকার মাল লাভে বিক্রি করে ধাপে ধাপে ফেরত চাইল।

উভয়েই সমান লাভ করল কিন্তু একজন ব্যাবসা করে লাভ করলেন, অপরজন সুদে লাভ করলেন। আল্লাহ ব্যাবসাকে করেছেন হালাল আর সুদকে করেছেন হারাম। তাই ইসলামী ব্যাংকিং হালাল আর সুদী ব্যাংক হারাম।

এই ব্যাপারে আপনার মতামত কি?

প্রকৃতপক্ষেই কি ইসালামি ব্যাংকের এই ব্যাবস্থা ব্যাবসার মত পবিত্র?

নাকি এটি ঘুরিয়ে সুদ খাওয়া এবং ইসলামের নামে প্রতারণা?

 

শেয়ার করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *