অনেকে বিশ্বাস করতে চায় না লেখালেখিতে আমি নতুন। বলা চলে লেখালেখির হাতে খড়ি হয়েছে। এর আগে লিখলেও ইংরেজিতে লিখতাম। তাও কালে ভদ্রে। তখন ব্যস্ত থাকতাম কেবল পড়াশোনায়। সারাদিন মোটা মোটা ইংরেজি টেক্সট বই হাতে ঘুরে বেড়াতাম। দিন কেটে যেতো পাঠাগারে।
তবে আকরাম হুসাইন সিএফ সব সময় আমাকে উৎসাহ দিত লেখালেখি করতে। কিন্তু অনেক কষ্ট করে লেখার পরেও তখন ভালো সাড়া পেতাম না। পাবো বা কেমনে? গত বছর follower ছিল মাত্র ৪০০ জন। তখন মন খারাপ লাগত। তাছাড়া টানা এগারো বছর ইংরেজি চর্চা এবং বিদেশে থাকার কারণে আমার বাংলা লেখা ভালো ছিল না। এভাবে এক পর্যায়ে লেখালেখি প্রায় বন্ধই করে দিলাম। হটাৎ একদিন Fuad Abdullah ভাই কল দিয়ে বললেন তোমার লেখা সুন্দর। তুমি লিখে দাও, আমরা আমাদের পেইজ থেকে শেয়ার দিব।
সেই কলটা ছিল একটা টার্নিং পয়েন্ট। তার মত অভিজ্ঞ এবং দায়িত্বশীল একজন ব্যক্তির থেকে ভালো রিভিউ পাওয়া অনেক বড় প্রেরণা হিসেবে কাজ করে। পরের দিন থেকেই আমি আবারো লেখা শুরু করি, আমার অপরিপাটি বাংলায়। এবার আগের তুলনায় ভালো সাড়া আসতে থাকে। দেশে বিদেশে অনেকে স্বাগত জানাতে শুরু করে। আমি অতি উৎসাহে কিছু ভিডিও তৈরি করে ফেলি এবং একদিন মিম্বার গ্রুপে একটা পোস্ট করি। petrodollar নিয়ে করা সেই ভিডিওতে সিদ্দিক স্বপন কমেন্ট করে “আপনার জ্ঞান সাগর থেকে নিয়মিত আমাদের কিছু দিবেন।”
আমি একটু অবাক হয়ে ভাবলাম আমি তো দিতে প্রস্তুত এমন একজন পাঠক এই তো চাই। তারপর থেকে আর পিছে তাকাতে হয়নি। ধীরে ধীরে আমার লেখা গুলো আপনাদের কাছে যেতে থাকে। লেখা আরো পরিণত হতে থাকে।
সত্যি কথা বলতে আমার কখনো ইচ্ছা ছিল না Facebook এ লেখালেখি করার। কিছু মানুষের অনুপ্রেরণায় লেখালেখির হাতে খড়ি থেকে এই পর্যন্ত আসা। অন্যের গুণ দেখতে পারা এবং তাকে অনুপ্রাণিত করা একটি চমৎকার স্বভাব। সামান্য অনুপ্রেরণাই একজনকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে।
Pingback: বাংলা ভাষার আঞ্চলিক সাহিত্য - মোহাইমিন পাটোয়ারী