সুদমুক্ত প্রতিষ্ঠান নির্মাণের সবচেয়ে আকর্ষণীয় উপায় হল সমবায় পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একটি সমবায়ের সকল সদস্যগণ প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা/ডেপজিট দিবে।
তার পরবর্তীতে সমবায়ের সদস্যদের কারো ঋণ নেওয়া প্রয়োজন সে অবেদনপত্র জমা দিবে। আবেদনকারীদের প্রয়োজন ও গ্রহণযোগ্যতা যাচাই-বাছাই করে সদস্যরা ঋণ নেওয়ার অনুমোদন দিবে যা হবে সম্পূর্ণ সুদমুক্ত।
এই পদ্ধতিতে যেহেতু সকল সদস্যের উপকৃত হওয়ার সুযোগ আছে, কেউ এখানে টাকা জমা দিতে নিরুৎসাহিত বোধ করবে না।
খরচ – যেহেতু একটি সমবায়ের সবাই একে অপরের খোঁজ খবর রাখেন। এই পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও নজরদারী ব্যয় হবে সামান্য।
ঋণ খেলাপী – যারা ঋণ নিবে তাদেরকে জামানত প্রদর্শন করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঋণ ফেরত না দিলে কিছু সময় বাড়িয়ে দেওয়া হবে, অন্যথায় জামানত বিক্রি করে টাকা ফেরত নেওয়া হবে।
মূল্যস্ফীতি – এই পদ্ধতির একটি আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে সময়ের সাথে টাকার মূল্যমানের ক্ষয় হওয়ার চিন্তা থেকে মুক্তি। যেহেতু এই পদ্ধতিতে প্রত্যেক সদস্য বিপদের দিনে বিনা সুদে ঋণ সহায়তা পেতে পারে, তাদের সঞ্চয়ের ক্ষয় হওয়া মূল্যমান বিপদের দিনে সাহায্য পাওয়ার বিনিময় মূল্যের মত কাজ করবে। অর্থাৎ, আপনি সুদমুক্ত ঋণ দিবেন এবং তার বিনিময়ে বিপদের দিনে সুদমুক্ত ঋণ পাবেন। তাই কেউই হারবে না।