আপনারা অনেকে প্রশ্ন করেন এই মুহূর্তে আপনাদের কি করা উচিত। এই সমাধানের একটা গাইড লাইন দিয়ে দিচ্ছি।
প্রথমত, শেয়ার বাজার থেকে ব্যাংকের শেয়ার কিনবেন না। কারণ এক্ষেত্রে আপনার বিরুদ্ধে আল্লাহর পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা (বাকারা ২৭৯)
দ্বিতীয়ত, ঋণ নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। একবার এই চক্রে পড়ে গেলে সাধারণত বের হওয়া যায় না।
তৃতীয়ত, ব্যাংকে deposit করা থেকে দূরে থাকবেন। যতো টা পারেন। একদম অল্প কিছু টাকা হাতে রেখে বাকিটা দিয়ে কিছু সোনা, কিছু ব্যবসা, কিছু জমি, কিছু বিনিয়োগ এভাবে ছড়িয়ে রাখবেন। তিন ভাগের এক ভাগ ফিক্সড asset (দোকান, কৃষি ভূমি, শিল্প ভূমি) এক ভাগ বিনিয়োগ (ফল বাগান, নতুন কোন software বা mobile app, কারখানা) এবং এক ভাগ current asset (সোনা, গরু, সাইকেল, বই, ক্যাশ টাকা) এভাবে রাখতে পারেন। আর দান করতে হবে বেশি বেশি। কারণ সেক্ষেত্রে আপনি পরকালের ব্যাংকে সঞ্চয় করছেন। ইসলাম আখিরাতের সঞ্চয়কেই উৎসাহিত করে, দুনিয়ার সঞ্চয় না।
এবার চিন্তা করে দেখুন, আমরা যদি ব্যাংকের শেয়ার না কিনি, সেখান থেকে ঋণ না নেই এবং টাকা না রাখি, ব্যাংক কি এখনকার মত শক্তিশালী থাকবে? একটু হলেও দুর্বল হবে না? জি, আসুন, ভালোর পথে এক পা হলেও আগাই।
এবারে আলোচনা করা যাক alternative finance নিয়ে। সেইটা হচ্ছে আমরা কিভাবে ব্যবসা করব? উত্তর হচ্ছে বিনিয়োগের মাধ্যমে। যেই ব্যবসা গুলো ঋণ থেকে মুক্ত সেগুলো আকারে বড় হয় না কিন্তু দীর্ঘদিন টিকে থাকে। সেজন্য আপনি দেখবেন মিষ্টির দোকান গুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম টিকে আছে। সেই তুলনায় manufacturing কোম্পানী গুলো আসছে আর যাচ্ছে। কেবল কেউ কেউ বিশাল দানব হয়ে গেছে ঋণ সুদের চক্করে। আমরা এমন সম্পদ চাই না যা আখিরাত বরবাদ করে দিবে। তাছাড়া সুদের থেকে মুক্ত হয়ে বড় কোম্পানি দেওয়া সম্ভব। গুগল, tesla সহ বহু কোম্পানী সুদ মুক্ত উপায়ে উত্থান করেছে। তারা ব্যাংকের থেকে টাকা না তুলে বরং বিনিয়োগের মাধ্যমে টাকা তুলেছে। বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান যেমন যান্ত্রিক, অন্ন, সাজগোজ, 10 মিনিট স্কুল, শিখ সহ অনেক স্টার্ট আপ বিনিয়োগের মাধ্যমে ফান্ড raise করেছে। আমি আগে সেইরকম একটি কোম্পানিতে কাজ করতাম। আপনার আশে পাশে খোঁজ নিয়ে দেখুন নিজে এমনি উদাহরণ পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।।
সবাই আমাকে এমনভাবে সমাধান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যেন সুদ ছাড়া চলা সম্ভব না। অনেকে আবার বিকল্প খুঁজে। সুদ হচ্ছে ক্যান্সার। ক্যান্সারের আবার বিকল্প কিসের। এর থেকে মুক্ত হওয়াই সমাধান। এক রোগের জায়গায় আরেক রোগ আনা না, বরং রোগ থেকে মুক্তিই হচ্ছে সমাধান।