শ্রেণীকক্ষের প্রভাব পরবর্তী জীবনে পড়ে

পরীক্ষায় নকল ও এসাইনমেন্ট কপি করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করার পর স্বভাবগুলো দূর হয় না। এজন্য কোম্পানির মালিকরা প্রায়ই অভিযোগ করে, টাকা দিয়েও আমরা ভালো কর্মী খুঁজে পাচ্ছি না। পাবে কী করে? বৃক্ষের পরিচর্যায় খুত থাকলে ভালো ফল পাওয়া যেমন অসম্ভব তেমনি অসম্ভব, ভালো শিক্ষা ছাড়া দক্ষ ব্যক্তিত্য তৈরি করা। আমাদের স্কুল কলেজ তো নকল করা, মিথ্যা লেখা এবং বাহিরে চাকচিক্যময়তা ও অন্তসারশূন্যতা শেখাচ্ছে। তাহলে কর্মী কীভাবে এই সবকিছু থেকে মুক্ত পাওয়া যাবে? 

শিক্ষকদের পক্ষ থেকেও এগুলো দূর করার সম্মিলিত চেষ্টা নেই। অনেকেই শিক্ষকতা পেশায় ঢুকেছেন নিরাপত্তা, সম্মান, বেতন ও আরাম দেখে। তাই তারা ছাত্রদেরকে সৎ, আল্লাহ ভীরূ ও দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন না। সব মিলিয়ে আমাদের উচিত হবে নিজেকে যোগ্য শিক্ষক হিসবে গড়ে তোলা এবং তার পরবর্তীতে আদর্শ শিক্ষা দেওয়া। শ্রেণীকক্ষে যেন আমরা শিখি সততা, সৃজনশীলতা, সমস্যা সমাধান, যুক্তি ও বিষয় ভিত্তিক শিক্ষা। তাহলেই তো এই দেশে তৈরি হবে সেরা কর্মী, উদ্যোগতা এবং গবেষক।

শেয়ার করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *