আমি ছাত্রাবস্থা থেকেই বলে আসছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোন লেখাপড়া হয় না। শিক্ষকরা নিজেরাই মুর্খ, ছাত্রদের শেখাবে কি?
অনেকে সেই সময় মনে করতো আমি লোক দেখানো কথা বলি, আমি অহংকারী, ইত্যাদি।
কিন্তু দিন বদলে গেছে। এইতো গত জুমাতে একজন ব্যক্তি পিছন ঠেকে ডাক দিয়ে বলে, “আপনি কি পাটোয়ারী ভাই?”
আমি বললাম, “হ্যাঁ”
সে বলল, “আমি আইবিএর ছাত্র। এখন সেকেন্ড ইয়ারে আছি। আপনার পোস্ট দেখেছিলাম যেখানে আপনি আইবিএর শিক্ষার সমালোচনা করেছিলেন।”
“আইবিএ কি আগের মতই খারাপ আছে?” আমি জিজ্ঞেস করলাম
“দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। আমাদেরকে পরিসংখ্যান পড়ায় বিবিএ’র ছাত্রী। সব ফ্যাকাল্টির হতাশাজনক অবস্থা।” সে উত্তর দিল।
মনে মনে ভাবলাম, দশ বারো বছর আগে যখন আমি এই কথাগুলো বলতাম আমাকে বুলিংয়ের শিকার হতে হয়েছে। এমনকি আইবিএ’র শিক্ষরা বিভিন্ন ছাত্র ছাত্রীকে বুলিং করেছে। আজ একের পর এক ব্যক্তি মুখ খুলছে, খুলবে।
কিছুদিন আগে সার্টিফিকেট পুড়ানো হয়েছে। আজকে দেখলাম ছেঁড়া হয়েছে। এগুলো আরও বাড়বে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লেখাপড়া বলতে কিছুই হয় না। কলা ভবনের অবস্থা এতটাই খারাপ যে সেখানে একজন ছাত্র বা ছাত্রীর শিক্ষা জীবনের বড় একটি অংশ কেটে যায় হতাশায় আর আড্ডায়। সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে পড়াকালে তাদের দুঃখজনক পরিস্থিতি দেখতাম আর ভাবতাম – কেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সিট বাড়াচ্ছে?
আর কত তরুণ তরুণী নিজ পরিবারকে স্বপ্ন দেখিয়ে হতাশায় দিবা-রাত্র ভুগবে? আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আসলে শিক্ষা বা চাকরি পাবার জায়গা না। বরং উদ্যমী তরুণ তরুনীদেরকে হতাশ ও ব্যার্থ করে দেওয়ার কারখানা।