যেই পোস্ট দিয়ে লেখা লেখির হাতে খড়ি

বন্ধুমহল থেকে অনেকেই আমাকে বই লিখতে বলেছে। জার্মানি থাকা কালেও এই কথা শুনতাম। এমনকি স্পেনীয় বন্ধু ডিয়াগো তো বলেই রেখেছে যে আমি লিখলে সে পড়বে। বই লেখার আগেই পাঠক প্রস্তুত!
বই অবশ্য লেখার ইচ্ছা জন্মেছিল বিদেশ থেকে একেবারে দেশে ফেরার সময়। সেই সময় নিয়ম ছিল বিমানে উঠার তিন দিন আগে টেস্ট করার অন্যথায় দেশে ঢুকতেই ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইন।
আমি ইচ্ছা করেই করোনা টেস্ট করে আসি নি – ভেবেছিলাম আমাকে ধরে বাংলাদেশ সরকার কোয়ারান্টাইনে পুরে দিবে, আর আমিও সময় কাটাতে বিদেশ ভ্রমণের বিচিত্র অভিজ্ঞতা নিয়ে সুন্দর একটি বই লিখে ফেলব।
কিন্তু বিধি বাম। বিমানবন্দরের ডাক্তার মহিলা আমার দিকে তাকিয়ে কি যেন মনে করে সিল মেরে দিলেন হোম কোয়ারান্টাইন।
আমি কিছু বুঝলাম না। যারা টেস্ট করে এসেছেন তাদেরকে জিজ্ঞাস করলাম, ভাই আপনাকে কি দিল? তারাও বলল হোম কোয়ারান্টাইন! বুঝে নিলাম জীবনে সবকিছু বোঝা অসম্ভব। তাই সেই চেষ্টা না করে ভালোয় ভালোয় বাড়ি ফেরত আসলাম। বিমানবন্দরে ডাক্তারের মন না বুঝতে পারলেও শিঘ্রই বুঝতে পারলাম, ঘরে বসে কোয়ারান্টাইন করা সম্ভব নয়। তাই আর সে চেষ্টাও করলাম না।
ডাক্তারের গাফেলতির কারণে আমার বই লেখা হল না বললে কেউ বিশ্বাস করে না। সবাই ভাবে আমার গাফেলতির কারণে লেখা হয় নি। যাই হোক, এতদিন যাবার পরে মনে হল আমার গাফেলতির কারণেও বই লেখা হচ্ছে না। শুরু করলে মন্দ কি? তবে জীবন কাহিনী নিয়ে নয়, সর্বপ্রথম অর্থনীতি নিয়ে বই লিখতে চাই।
দুই চার দিন হল কাজ শুরু করেছি। জানি না আবার কারো গাফেলতির কারণে বই শেষ হয়ার আগেই লেখা বন্ধ হয়ে যায় কিনা। বইয়ের কিছু কিছু অংশ শেয়ার করব। আপনারা বেশি বেশি করে লাইক দিয়ে পাশে থাকবেন। নাইলে অভিযোগ উঠতে পারে, আপনাদের অনীহার কারণেই এবার বই লেখা হল না।
১ জুন, ২০২১
শেয়ার করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *