১৪ বছর বয়সী বাংলাদেশী-আমেরিকান ছেলে “কাজী” সবচেয়ে কম বয়সী কর্মী হিসেবে এলন মাস্কের SpaceX কোম্পানিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে এ যোগদান করেছে। কোম্পানির পক্ষ থেকে তাদের সর্বকনিষ্ঠ এই কর্মীকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
এই ব্যাপারে কাজী বলেন, “বিশ্বের সেরা কোম্পানিতে সম্মানিত স্টারলিংক ইঞ্জিনিয়ারিং দলের সাথে একজন সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে এই যাত্রা শুরু করতে পেরে আমি আনন্দিত। অন্য অনেকের মত, বয়সের ভিত্তিতে আমার যোগ্যতার মূল্যায়ন করতে SpaceX-এর অস্বীকৃতি সত্যিই অসাধারণ। “
বাংলাদেশী পিতামাতা, মুস্তাহিদ এবং জুলিয়ার ঘরে কাজীর জন্ম। মাত্র দুই বছর বয়সে পূর্ণ বাক্যে কথা বলে তার চারপাশের লোকদের চমকে দিয়েছিলেন সে।
কাজী যখন নয় বছর বয়সে তৃতীয় শ্রেণীতে পৌঁছে, তখন তিনি স্কুল পাঠ্যক্রমকে তার একঘেয়ে মনে হয়। এর মাত্র কয়েক মাস পরে, তিনি ইন্টেল ল্যাবসে এআই রিসার্চ ফেলো হিসেবে ইন্টার্নশিপ পান। ১১ বছর বয়সে কাজী কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল বিষয়ে তার আনুষ্ঠানিক পড়াশোনা শুরু করে।
২০২০ সালে, সাইবার ইন্টেলিজেন্স ফার্ম Blackbird.AI-তে মেশিন লার্নিং ইন্টার্ন হিসেবে কাজীর প্রতিভাকে চার মাসের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।
সান্তা ক্লারা ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে সর্বকনিষ্ঠ স্নাতক হিসেবে ২০২৩ সালের শুরুর দিকে চাকরির প্রস্তুতি শুরু করে। তার সপ্তাহ খানেক পরে, সে স্পেসএক্স থেকে চাকরির অফার পায়।
কাইরানের মা জুলিয়া চৌধুরী কাজী একজন ওয়াল স্ট্রিট এক্সিকিউটিভ। তিনি, তার ছেলে কায়রানের সাথে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর বে এলাকায় থাকেন। কাইরানের বাবা মুস্তাহিদ কাজী মূলত মানিকগঞ্জের বাসিন্দা এবং বর্তমানে একজন প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন।
নিউজ লিংক – https://www.thedailystar.net/tech-startup/news/14-year-old-bangladeshi-american-boy-joins-spacex-youngest-employee-3343916?fbclid=IwAR0n5l8hypZWzjw5OMolIXRSpffk9E6AUzxsESdyrNYPcrNYhJUSAVALp1M