ধরুন, কোন চাকরির জন্য ১০০ জন পুরুষ ও ১০০ জন নারী প্রার্থী আবেদন করলো। এদের মধ্যে যোগ্যতার ভিত্তিতে ১৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী নির্বাচিত হল। তারা সবাই চাকরি করতে পারবে এইটা হচ্ছে ন্যায্যতা।
কিন্তু নারী পুরুষের সমতা রক্ষার নামে ১০ জন পুরুষ আর ১০ জন নারীকে যদি চাকরি দেওয়া হয় তাহলে ৮ জন যোগ্য পুরুষের প্রতি বৈষম্য করা হল। তাদের দোষ কী?
তাহলে আপনিই বলেন – নারীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ দেওয়া কোটা দেওয়া কি অন্যায় না?
এই যে নারীরা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে তারা কি কোন অসহায় পুরুষ বা বেকার ছেলের দায়িত্ব নেয়? সেই তুলনায় একজন পুরুষ ঠিকই বেকার নারীর দায়িত্ব নেয়। এবারে চিন্তা করে দেখেন – ১০ জন চাকরিজীবী নারী বলল, “আমরা চাকরীজীবী ছেলে ছাড়া বিয়ে করব না।” তখন কি হবে?
সব বেকার নারী পুরুষ একে অপরকে বিয়ে করবে আর দারিদ্রে থাকবে, অন্যদিকে যাদের আছে তারা আরো বেশি পাবে।
এভাবে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়বে। আমি এই কথা বলছি না যে একজন নারী যোগ্য হলেও তাকে চাকরি না দিতে। এইটা তো জুলুম। বরং আমি বলছি যেই পুরুষ যোগ্য, সে যেন একই জুলুমের শিকার না হয়।