আমরা প্রতিনিয়ত দেখি দেশের জিডিপি যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে জিনিসপত্রের দামও বেড়ে চলেছে।
একবার চিন্তা করে দেখুন দেশে যেই বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়, সেই বছরেই আলুর দাম কমে যায়। এটি আমরা সহজেই বুঝতে পারি। অন্যান্য ফসল এবং তৈরি পণ্যের ক্ষেত্রেও আমরা একই চল লক্ষ্য করি।
সে হিসেবে দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সবকিছুর মূল্য কমার কথা ছিল৷ কিন্তু দেখা যায়, উলটো বাড়ছে?
কেন এমনটা হচ্ছে?
জিনিসপত্রের মূল্য এরকম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ হলো— মুদ্রাস্ফীতি বা টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি।
স্বর্ণ, রৌপ্যের খনি আবিষ্কারের সাথে সাথে যেমন সোনা রুপার পরিমাণ বেড়ে যায়, তেমনি বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন টাকা ছাপালে টাকার পরিমাণ বেড়ে যায়। অর্থনীতিতে নতুন টাকা আসার ফলে টাকার মূল্য কমে যায় অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি দেখা দেয়।
বিষয়টি সহজে বোঝা যায় এভাবে, একটি অঞ্চলে কোনো বছর সাগর থেকে অনেক মাছ ভেসে আসলে যেমন মাছের দাম পড়ে যায়, ঠিক তেমনি একটি দেশ অনেক টাকা ছাপালে সেই দেশের টাকার দামও পড়ে যায়। আর যেহেতু আমরা টাকা দিয়ে লেনদেন করি, সেহেতু টাকার মূল্যমান কমার অর্থ বাকি সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়া।
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মিল্টন ফ্রিডম্যান বলেছেন
“Inflation is always and everywhere a monetary phenomenon.”
তাই জিডিপি বৃদ্ধির সাথে সাথে দ্রব্যমূল্যেরর দাম কমার কথা থাকলেও দেশে টাকা ছাপানোর পরিমাণ জিডিপি বৃদ্ধির চেয়ে অধিক হওয়ার কারণে জিনিস পত্রের দাম না কমে বরং বেড়েই চলেছে।