আমি কুরআন ছাড়া অন্যান্য ধর্মের গ্রন্থও পড়ার ও বোঝার চেষ্টা করেছি। জীবনের একটা বয়স এমন ছিল যে আমি উৎসাহ নিয়ে বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে ঘেঁটে দেখার চেষ্টা করতাম কী আছে সেখানে? ইসলাম কি সঠিক ধর্ম দেখেই একে গ্রহণ করেছি নাকি জন্ম সূত্রে আমি মুসলিম।
বছরের পর বছর এভাবে কেটেছে। দিন শেষে আমি ঘোষণা দিলাম কুরআন আল্লাহর বাণী। কিন্তু কেন? এমন কি প্রমাণ আছে যে কুরআন মানুষের দ্বারা লেখা হয় নাই? অনেক গুলো প্রমাণ আছে। আজকে একটা বলবো কেবল।
সেটা হচ্ছে রাসূল সা. এর জীবন। ভেবে দেখুন কুরআন যদি মানুষের রচিত গ্রন্থ হতো তাহলে কী এর পিছে এতো ত্যাগ করা হতো?
রাসূল সা. যথেষ্ট ভালোভাবেই দিন কাল কাটাচ্ছিলেন। চল্লিশ বছর বয়স হয়ে গিয়েছিল। সমাজে সবার সম্মান ও ভালবাসার পাত্র ছিল। তিনি চাইলেই বাকি জীবন সুখে শান্তিতে কাটিয়ে দিতে পারতেন। নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলার কী দরকার ছিল?
তিনি এর আগে কোনদিন মিথ্যা কথা বলেন নাই। হটাত করে এতো বড় মিথ্যা কেন বলবেন যে আল্লাহ তাঁর সাথে যোগাযোগ করছে। যদি এই মিথ্যা তিনি বলতেন আল্লাহ নিজেই তো তাঁকে ধ্বংস করে দিতে পারতেন। তারপরেও ধরলাম আল্লাহ ধ্বংস করেন নাই। ব্যপার হচ্ছে একজন ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলে কিছু পাওয়ার জন্য।
কিন্তু তাঁকে যখন লোভ দেখানো হলো যে তোমাকে মক্কার সর্দার বানিয়ে দিব এবং অর্থ সম্পদ দিব। তিনি কেন গ্রহণ করলেন না? ভবিষ্যতে আরও বেশি পাবার আশায়?
খেয়াল কর দেখুন, অর্থ সম্পদ তাঁর জীবনে এসেছি কিন্তু তিনি কোনদিন বেশি ভোগ করেন নাই আবার সঞ্চয়ও করেন নাই। এমনকি মৃত্যুর পূর্বে এই নিয়ে কোন আফসোস করেন নাই। এর কারণ কী?
ধরা যাক তিনি কেবল সম্মান চেয়েছিলেন। তাহলে আমার প্রশ্ন হচ্ছে এমন আরেকজন ব্যক্তি কেন আসছে না।
এতো কোটি কোটি মানুষের মাঝের এমন আরেকজন তো প্রতি বছরে আসতে পারতো। প্রতি বছরে না হলে দশ বছরে বা বিশ বছরে বা শত বছরে। কিন্তু হাজার বছরে কেউ কেন এমন হতে পারলো না?
এতো লেখক আছে পৃথিবীতে কিন্তু গত ১৪০০ বছরে কেউ কি এমন কোন বই লিখতে পেরেছে যার জন্য কোটি মানুষ জীবন দিতেও প্রস্তুত?
ইসলাম যদি সত্য না হয় তবে কেউ হয়ে দেখাক রাসূল সা. এর মতো। হতে পেরেছে কেউ? এগুলো কি প্রমাণ না যে কুরআন মহান আল্লাহর প্রেরিত বাণী?