ইসলামী শরীয়া আইন প্রতিষ্ঠা

আপনি ইসলামী পরিবেশ প্রতিষ্ঠা হবার পরেই তো শরিয়া আইন আনবেন

লাইব্রেরির সামনে একটি সাইকেল চোর ধরা পড়ল। সবাই মিলে তাকে আচ্ছা মত উত্তম মধ্যম দিতে শুরু করেছে এমন সময় একজন পুলিশ এসে তাকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে গেল।
 
অনেকে খুব বিরক্ত হলো এজন্যে যে তাকে ঠিক মতো মারার আগে পুলিশ কেন নিয়ে গেল? আরেক পক্ষ খুব দুঃখ পেল এজন্যে যে একটি চোরকে এভাবে মারা হলো। তাদের দৃষ্টিতে এইটা অনুচিত।
এমন সময় আমাকে তাদের একজন প্রশ্ন করলো আপনি হলে কি করতেন? আমি খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে উত্তর দিলাম আমি তো হাত কেটে দিতাম। (কারণ এইটাই ইসলামের বিধান, এবং এইটা উপযুক্ত শাস্তি)
তাদের মধ্যে কয়েক জন জ্ঞানী ব্যক্তি আমার উপর বিরক্ত হলো। আমি বুঝলাম না কেন। তারা বলল, “ইসলামের বিধান তখন কার্যকর হবে যখন পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি উপযোগী হবে।”
 
আমি মানতে নারাজ হয়ে বুঝাতে চাইলাম, “এইটা উপযুক্ত শাস্তি এবং এই ভাবেই চুরি দূর হবে”
তখন তাদের একজন আমাকে বুঝালো, “এই চোর কি সেই ফরজ শিক্ষা পেয়েছে যা মুসলিম জাহানের সবার পাওয়ার কথা ছিল? সে কি ন্যায় পরায়ন শাসক পেয়েছে? এই চোর কি যাকাত পেয়েছে? সে কি একটি দুর্নীতি মুক্ত সমাজ পেয়েছে? সে যদি এক বেলা খাবার চাইতো কয়জন দিত?
 
যেই সমাজের সব চলে সেকুলার আইনে এবং যেই সমাজ নিজেই বখা, সেখানে আপনি কোন কিছু ঠিক না করে কেবল মাত্র একটা জায়গায় আইন প্রয়োগ করবেন সেইটা অন্যায্য। অবশ্যই চোরের হাত কাটতে হবে, কিন্তু তার আগে যাকাত এর বিধান নিশ্চিত করেন, ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেন, সুদ মুক্ত করেন, মানুষের মধ্যে সাম্য প্রতিষ্ঠা করেন, যেমনটা ইসলাম বলেছে। যেমনটা ইসলামি শাসনামলে ছিল।
 
এমন পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করার পরে কেউ চুরি করলে হাত কাটেন।
আপনি ইসলামী পরিবেশ প্রতিষ্ঠা হবার পরেই তো শরিয়া আইন আনবেন। নাকি তার আগেই কেবল একটি মাত্র জায়গায় শরিয়া আসবে? “
আমি আমার বোকামি বুঝতে পারলাম। সেই ২০১৭-১৮ র দিকের ঘটনা। কিন্তু আজও মনে পড়ে।
শেয়ার করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *