ইসলামি ব্যাংক কি আমাদের সুদ খাওয়াচ্ছে?

নিচের আটটি তথ্যে কোন ভুল থাকলে জানাবেন।

১ আল্লাহ আমাদের জন্য হালাল করেছেন ব্যবসা, সাদাকা এবং সুদ বিহীন উত্তম ঋণকে। কিন্তু আল্লাহ আমাদের জন্য হারাম করেছেন সুদকে।

২ ব্যবসাতে লাভ আছে, লোকসান আছে। সুদ বিহীন ঋণে লাভ নাই, লোকসান নাই। সুদে লাভ আছে, লোকসান নাই। অর্থাৎ একটি প্রতিষ্ঠান হালাল হবে যদি তা ব্যবসা হয় বা কর্জে হাসানা হয়।

৩ ইসলামী ব্যাংকে আপনি টাকা জমা রাখলে একমাত্র লাভ হয়, কখনও লোকসান হয় না। 

৪ সুদের হার তারতম্য করলেও ইহা সুদ। 

৫ সরল হারে সুদ নিলে সুদ হালাল হয়ে যাবে না। হালাল ব্যবসাতে সুদ দিলেও সুদ হালাল হয়ে যাবে না।

৬ সকল কোম্পানির লাভ লোকসান আছে। কিন্তু সকল ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংকে এর কেবল লাভ করে, ব্যাংকিং বিপর্যয় বাদে।

৭ কোন কারণে ঋণের একটি ইন্সটলমেন্ট দিতে দেরি হলে সকল ব্যাংকে + ইসলামি ব্যাংকে তার উপর বাড়তি সুদ/মুনাফা দিতে হয়। 

কিন্তু ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি পণ্য কিনে টাকা দিতে সামান্য দেরি করাতে দাম বাড়ানোর বিধান ইসলামে নেই। উত্তম ঋণের ক্ষেত্রেও টাকা দিতে দেরি করলে সুদ নেওয়া যাবে না।

 

৮ কোন ব্যবসাতে শূন্য থেকে মুদ্রা সৃষ্টি করে লেনদেন করা যায় না। কিন্তু সকল ব্যাংক এই কাজ করতে পারে + ইসলামী ব্যাংক পারে।

আজকে আমি কেবল তথ্য দিয়েছি। কোন মতামত দেইনি। কেবল তিনটি প্রশ্ন করে শেষ করছি 

ক) ব্যবসা, কর্জে হাসানা এবং সুদ এই তিন বস্তুর কোনটির সাথে সবচেয়ে মিল পেলেন ইসলামী ব্যাংকের?

খ) যদি কোন কিছুর সংস্কার দাবী করা উচিত হয় তাহলে কি দ্বীনদার মুসলিমদের এই ব্যাপারে নিরব থাকা উচিত?

গ) আল্লাহর যদি ইসলামী ব্যাংক কে হালাল বলে কবুল না করেন?

শেয়ার করুন

1 thought on “ইসলামি ব্যাংক কি আমাদের সুদ খাওয়াচ্ছে?”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *