ইউরোপের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত

অনেকে ভাবেন অবৈধ পথে বিদেশে গিয়ে ধরা পড়লে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

এই ধারণা ১০০% ভুল।

ইউরোপ আমেরিকাতে অবৈধ পথে গিয়ে ধরা পড়লে আপনাকে কিচ্ছু করে না। সেজন্যই এত মানুষ যায়।

যারা যায় তারা প্রথমে বিভিন্ন ছোট খাটো কাজ শুরু করে এবং চেষ্টা করে দ্রুত ভালো কাজ খুঁজে বের করতে যেখানে সরকারকে ট্যাক্স দেওয়া যায়। সরকারকে ট্যাক্স দেওয়ার চাকরি যদি চার পাচ বছর করতে পারেন তাহলে আপনি pr এর জন্যে আবেদন করতে পারবেন।

এক কথায় সীমান্ত পেরিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করাটা কষ্ট কিন্তু একবার ঢোকার পরে খুব কম মানুষকেই ফেরত আসতে হয়। তাদের আইনের বিভিন্ন ফাঁক ফোকড় দিয়ে নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা চলতে থাকে এবং প্রায় 95% ব্যক্তিই একদিন না একদিন সফল হতে পারে। আমি এমনও শুনেছি এক ব্যক্তি ফ্রান্সে গিয়ে পাগলের অভিনয় করে নাগরিকত্ব পেয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেইটা করে তা হচ্ছে বয়স লুকানো। ফ্রান্সের আইনে আঠারোর নিচে কেউ সেই দেশে প্রবেশ করলে নাগরিকত্বের ব্যবস্থা সহজ করে দেওয়া হয় এবং সেই দেশের ভাষা ও স্কুলিং ফ্রি তে করানো হয়। সেজন্য অনেকে যা করে তা হচ্ছে অন্যান্য দেশের স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে ফ্রান্সে পালিয়ে গিয়ে underage দাবি করা। অথবা অবৈধভাবে ফ্রান্সে গিয়ে আবেদন করা।

আপনার বয়স আঠারোর বেশি হলে কোন সমস্যাই নেই। পাসপোর্ট অফিস থেকে ঘুষ দিয়ে যেই কোন বয়সের পাসপোর্ট তৈরি করা যায় এবং এভাবেই সবাই যাচ্ছে। কেবলমাত্র বাংলাদেশে না আফ্রিকার অন্যান্য দেশ থেকেও এই উপায়েই সবাই যাচ্ছে। আমি কিছুদিনের জন্য ফ্রান্সে ছিলাম সেখানে তাদের সাথেই আমার উঠা বসা ছিল। অনেক কিছু শিখেছি তাদের থেকে এবং আরো একটা জিনিস শিখেছি যে অবৈধদের বৈধ করার জন্য ফ্রান্সের ভিতরেই অনেক লিবারেল সংস্থা কাজ করে। এই অবৈধ অভিবাসীর জোয়ারে অতিষ্ঠ হয়ে ফরাসী নাগরিকদের অনেকে বিরক্ত আবার অনেকে মনে করেন চলছে চলুক।

সব মিলিয়ে আমার মনে হয় না সহসা কোন পরিবর্তন আসবে ইউরোপে। তাই দিন দিন আরো বেশি থেকে বেশি মানুষ যেতে থাকবে ইউরোপে এবং তাদের জাতি বাকিদের সাথে মিশে যাবে।

শেয়ার করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *