সুদ কীভাবে বৈষম্য, দারিদ্র এবং বেকারাত্ব সৃষ্টি করে তা একেবারে সাবলীল বাক্যে উদারহণ সহ ব্যাখ্যা করছি। (মাত্র ১৫ বাক্যে!)
মনে করুন, পৃথিবীর সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন একটি গ্রামে সব মিলিয়ে মোট ১,০০০ টি সোনার মাত্র ১০০ টি সোনার মোহর পুঁজি দিয়ে আমি সুদের কারবার প্রতিষ্ঠা করলাম। প্রথমত, ১০০ মোহর দুই জন উদ্যোক্তাকে ঋণ দিয়ে দিলাম। সুদের হার সামান্য, একশ মোহরে প্রতি বছর মাত্র দশ মোহর।
এখন হিসেব কষে দেখেন, বিশ বছর পরে সুদে আসলে ঋণের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৩০০ মোহর। কিন্তু সিন্দুকে একশ কড়ি থাকায় সম্পূর্ণ গ্রামে মোট কড়ির পরিমাণই নয়শ। সব কড়ি দুই জন ব্যাবসায়ির নিকট আসা সম্ভব নয়, কারণ সেই ক্ষেত্রে ব্যাবসার কোন গ্রাহক থাকবে না। অর্থাৎ, ব্যবসায়িদের একজনকে বা দুই জনকেই দেউলিয়া হতে হবেই। দেউলিয়া হলে ব্যাবসায়ির সব সম্পদ আমার হাতে চলে আসবে। এইভাবে গ্রামে দুইজন নিঃস্ব মানুষের জন্ম হবে এবং আরেকজন ধনী ও প্রভাবশালী ব্যাক্তির জন্ম হবে। অথচ আমার হাতে প্রথমে লোহার সিন্দুক ছাড়া আর কিছুই ছিল না, এবং ব্যাবসায়ির ঋণ খেলাপি এড়ানোরও কোন রাস্তা ছিল না। এখন এই গল্পটাতে গ্রামের জায়গায় দেশ আর আমার জায়গায় ব্যাংককে কল্পনা করুন, আধুনিক অর্থনীতি আরও অনেক অনেক জটিল এবং বিস্তৃত হলেও মোটা দাগে বাস্তবতা এমনই।