বাংলাদেশে যেই ভবন ও স্থাপনা সুদ মুক্ত উপায়ে নির্মিত হয় তা হচ্ছে মসজিদ মাদ্রাসা। সেজন্য দেখবেন এগুলোর বছরর পর বছর ধরে একটু একটু করে আগায়। আল্লাহ না করুক যদি এই জায়গায় সুদের চর্চা শুরু হয়, দেখবেন তারাও ধান্দা করবে কত কম টাকা বিনিয়োগে কত বেশি রিটার্ন তোলা যায়।
তখন তারা উপরে চাকচিক্যময় এবং ভিতরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ করে হিংস্র ভাবে দানের টাকা তোলা শুরু করবে। এদের অনেকে দেউলিয়া হবে। সেই জায়গায় নতুন গ্রোথ মসজিদ হবে। সেগুলোর খবর ছাপানো হবে। পত্রিকায় তখন রিলিজিয়াস ইকনোমি নামে খুব প্রশংসা সহ খবর ছাপবে ইত্যাদি।
সেজন্যই আপনি দেখবেন বহু ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পপতি দেউলিয়া হয়ে গেলেও মসজিদ বা মাদ্রাসা দেউলিয়া হয় না। বছরের পর বছর টিকে থাকে। তার কারণ সুদ।
মসজিদ মাদ্রাসাতে যদি এই সংস্কৃতি প্রবেশ করলে ওয়াজ নসীহাতে সারাদিন কেবল মসজিদে দানের কথা বলবে। মুসল্লিদেরকে তখন দেখা হবে টাকার মেশিন হিসেবে। কীভাবে কার থেকে কোন উপায়ে টাকা বের করা যায় এই ধান্দা চলতে থাকবে সবদিকে (বর্তমানে আমাদের সমাজে অন্য সকল ক্ষেত্রে এই প্রভাব দেখতে পারেন কিনা বলেন)।
এক কথায় সুদের প্রবেশ ঘটলে মসজিদ, মাদ্রাসা আর ধর্ম প্রতিষ্ঠান থাকবে না বরং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। ঋণ নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান তুলে সুদাসল পরিশোধ করে লাভ তোলা হবে ধান্দা। সুদ কেবল অর্থনৈতিক ভাবেই নয়, সামাজিক ভাবেও ক্ষতিকর। সেজন্যই বর্তমান সমাজে যেই অসুস্থ পুঁজিবাদী প্রভাব দেখতে পান তা আসলে সুদের প্রতিফলন। সেজন্যই আপনারা সারাক্ষণ দেখেন আশে পাশের সবাই কে কীভাবে টাকা তুলবে সারাক্ষণ এই ধান্দা করতে থাকে। সবাই তো দৌড়ের উপর আছে। আমরা সবাই আসলে টাকার মেশিন হয়ে গেছি। তাছাড়া আর কোন উপায় নেই।
সুদের প্রবেশ ঘটলে ধর্ম ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যেমন কমার্শিয়াল হয়ে যেতে বাধ্য তেমনি একটি সমাজ, পরিবার ও রাষ্ট্রও। সেজন্যই বলি, আমরা আল্লাহর আইন ভঙ্গ করি একটা কিন্তু এর প্রভাব হয় বিশাল।