বাংলাদেশে যথেষ্ট মসজিদ নির্মাণ হয়ে গেছে। আর নতুন মসজিদ নির্মাণ না করলেও চলবে। বর্তমানে যত মুসলিম আছে তাদের সবাই একসাথে মসজিদে গেলেও তা পুরবে না। ঈদের দিনেও কোন স্থানে জায়গার সংকট হয় না। এমনকি বৃষ্টির দিনেও।
বর্তমানে আপনারা যারা দান করবেন তাদের দানের ক্ষেত্র সেক্ষেত্রে কি হওয়া উচিত? আমার মতে মসজিদে মুসল্লিদের নিয়মিত আগমন নিয়ে কাজ করা যেতে পারে। বিশেষ করে যুব সমাজ যেন আগ্রহী হয় তা নিশ্চিত করতে কাজ করতে পারেন। মসজিদ ভিত্তিক বিভিন্ন সামাজিক কাজ, সাইকেল প্রদান, উন্নত পাঠাগার নির্মাণ, মসজিদ ভিত্তিক কর্জে হাসানা কার্যক্রম, দারিদ্র বিমোচন, বয়স্ক ভাতা কার্যক্রম করা যেতে পারে।
আরেকটা কাজ আপনারা করতে পারেন। তা হচ্ছে মুসলিমদের নিয়ে যারা বুদ্ধি বৃত্তিক কাজ করে যাচ্ছেন তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারেন। এই খাতে যারা বর্তমানে কাজ করছে তারা প্রচুর কষ্ট করে আয় রোজকার করছে, অনেকে জীবীকার তাগিদে ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। তাদের সাথে একটু যোগাযোগ এবং খোঁজ খবর রাখবেন। পারলে সাহায্য করবেন – সবাইতো খুঁজতে পারে না। একজন লেখক কিংবা গবেষককে যদি আপনি পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারেন উম্মাহ অনেক উপকৃত হবে ইনশাল্লাহ।
আর মজলুমদের ও তাদের পরিবারদেরও সহায়তা করবেন।
মাদ্রাসার শিক্ষা যেন বিশ্বসেরা হয় সেজন্য কাজ করবেন। নতুন মদ্রাসা তৈরি বা উন্নত ভবন নির্মাণের তুলনায় শিক্ষার মান ক্ষুরধার করার লক্ষ্যে কাজ করা আরও অনেক জরুরী।
মসজিদ সুরম্য করা দ্বীনের কোন অংশ না বরং কেয়ামতের আলামত। তাই সম্পদশালী মুসলিমরা উম্মাহর কল্যাণের খাতিরে নিজের কষ্টার্জিত টাকাটা সঠিক জায়গায় ব্যয় করবেন যেন আমরা সবচেয়ে বেশী উপকৃত হতে পারি। লেখাটা ভালো লাগলে নিজে পালন করবেন, আর যদি পালন করতে না পারেন, যারা সামর্থ্যবান তাদের কাছে পৌঁছে দিবেন।