জাতি নেতা তৈরি করে

ধরুন, একজন ব্যক্তির হাতে কিছু টাকা আসলে সে চিন্তা করে কীভাবে ভোগ করবে। তার স্বপ্ন সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তির গাড়ি চালাবে, ফোন টিপবে, দামী খাবার খাবে ইত্যাদি। সেইটা দেশে তৈরি হয় কিনা, তার জন্য ব্যাপার না। বরং বিদেশী হলে সে গর্ব বোধ করে। সে চায় খরচ করে বড় বড় অনুভব করতে। বিদেশী পণ্য ব্যবহার করার কাজে সরকার বাধা দিলে সে আরও খেপে যায়, পারলে চোরাই পথে আমদানি করে। তার সারাক্ষণ চিন্তা নিজের উন্নতি নিয়ে। সে চায়, দেশে টাকা কামাবে কিন্তু বিদেশে গিয়ে ঘর করবে। সে চায় কেবল ভোগ করতে, বিনিয়োগ না করতে।

এমন যখন একটি জাতির অবস্থা হয়, তখন দেশের অবনতির পথে আর কোন বাধা থাকে না। আপনার আমার মত মানুষের দ্বারাই তো দেশ চলে। সরকার কি এলিয়েনদের দ্বারা পরিচালিত হয়? জন্ম থেকে স্বার্থপরতা, ভোগবাদ আর হীনমন্যতা নিয়ে বেড়ে উঠলে রাতারাতি কেউ বদলে যায় না।

শুনুন, ভোগ, হিংসা আর ব্যয় করে কোন জাতি উন্নতি করতে পারে নাই। এমন জাতির হাতে সোনার পাহাড় থাকলেও তাও শেষ করে ফেলে। একটি জাতির উন্নতি হয় বিনিয়োগ, ত্যাগ ও সংগ্রামের ঘামে। তাই স্বভাব বদলানো হচ্ছে সবচেয়ে জরুরী কাজ। জাতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে বদস্বভাব প্রবেশ করলে জাতির মানসিকতার পরিবর্তন ব্যতীত একজন সৎ নেতা এসে ভাগ্য বদলাতে পারবে না।

শেয়ার করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *