কর্মদক্ষতা, পড়াশোনা ও চাকরি

মুখস্ত ভিত্তিক পড়াশোনা কি আদৌ জরুরী?

এক সময় জ্ঞানী বলতে বুঝাতো তাকে যাকে প্রশ্ন করলে অজানা বিভিন্ন তথ্যের উত্তর পাওয়া যায়। সে জানতো কোন দেশ কোথায় অবস্থিত? কোন বিজ্ঞানী কি আবিষ্কার করেছে? কোন সংস্থার কাজ কি? বিভিন্ন কবি সাহিত্যিকের পরিচিয়। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তির যুগে এই জ্ঞানের চাহিদা কমে গেছে। একজন মানুষ তার সারা জীবনে যত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে তা একটি হার্ড ডিস্কেই এঁটে যায়। ইন্টারনেটের কল্যাণে তথ্য সমৃদ্ধ হার্ড ডিস্কও আমাদের সাথে করে বহন করার প্রয়োজন নেই। তাহলে কেন আমরা চাকরির পরীক্ষার জন্য তথ্য মুখস্ত করছি?

মাটি কাটার মেশিন আবিষ্কৃত হওয়ার পরে কোদাল চালনা শিখার জন্য কেউ স্কুলে ভর্তি হয় না কেন? কারণ, দক্ষতা এমনই জিনিস যা সময়ের সাথে বদলায়। এজন্যই ক্যালকুলেটর আবিষ্কার হওয়ার পরে ক্যালকুলেটর চালাতে পারাটা দক্ষতা (মনে মনে অংক কষা নয়) এবং মোটরযান আবিষ্কৃত হওয়ার পরে গাড়ি চালাতে পারাটা দক্ষতা (খালি পায়ে দৌড়ানো নয়)। নিজের শারীরিক ও মানসিক উন্নতির জন্য অবশ্যই মুখে মুখে অংক কষা বা দৌড়ানোর প্রয়োজন আছে কিন্তু এর ভিত্তিতে কেউ চাকরি পেতে পারে না। এগুলো করে একটি জাতি উন্নত হতে পারে না।

তাই উইকিপিডিয়া, গুগল, চ্যাট জিটিপি ইত্যাদি আবিষ্কৃত হওয়ার পরে কীভাবে এগুলো ব্যবহার করতে হবে এবং ভবিষ্যতে এমন কিছু আবিষ্কার করতে হবে তা জানাটাই দক্ষতা, বিভিন্ন রাষ্ট্রের নাম, ব্যক্তির পরিচয়, রচনা মুখস্ত করা মেধা শক্তির অপচয় ব্যতীত কিছুই নয়।

শেয়ার করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *