সুদের সমাধান হচ্ছে ব্যবসা বিনিয়োগ এবং একেবারে ক্ষুদ্র পর্যায়ে কর্জে হাসানা।
একটি ইসলামি ব্যাংক কিভাবে চলবে?
– সে ফ্র্যাকশনাল রিজার্ভ ব্যাংকিং করবে না এবং কোন ব্যবসা বাহানা করবে না। লাভ লোকসান ভাগাভাগি করবে; অর্থাৎ, সত্যিকারের বিনিয়োগ করে ফাইন্যান্সিং করবে।
এমন করে কি ব্যাংক চলতে পারে এই বিশ্বে? যেখানে পুরা সিস্টেম হচ্ছে সুদ ভিত্তিক?
– একটি প্রতিষ্ঠান যখন ফুল রিজার্ভ সিস্টেমে চলে এবং লাভ লোকসান ভাগাভাগি করে তখন আমরা তাকে ব্যাংক বলি না। আমরা তাকে বলি ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন। বর্তমানে অনেক ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন আছে। কিছু কিছু ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন কেবল বড় বড় লিস্টেড প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে। তাকে বলে মিউচুয়াল ফান্ড। যারা আরেকটু ছোট প্রাইভেট কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে তাদেরকে বলে প্রাইভেট ইকুইটি ফান্ড। আর যারা নবীন উদ্যোগতাদের নিয়ে কাজ করে তারা হচ্ছে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড।
বর্তমানে যেই অর্থনীতিক কাঠামো চলছে তা একেবারে অপরিবর্তীত রেখে কাগুজে টাকার মুদ্রাকে সোনার মুদ্রা দ্বারা রিপ্লেস করলে কি কোন পরিবর্তন আসবে?
– না কোন পরিবর্তন আসবে না। সেক্ষেত্রে সুদ ভক্ষণকারীরা সকল সোনা কুক্ষিগত করে ফেলবে। কারণ তারা এক কেজি সোনা ঋণ দিয়ে দুই কেজি ফেরত চাইবে। তারপরে ২ কেজি ঋণ দিয়ে ৪ কেজি ফেরত চাইলে, তারপরে ৪ কেজি দিয়ে ৮ কেজি, ৮ দিয়ে ১৬ এভাবে চালাতে থাকবে এবং সোনার মুদ্রা অচিরেই তাদের হাতে কুক্ষিগত হয়ে যাবে।
এই অর্থ ব্যবস্থা চালু রেখে সবাই যাকাত দিলে কি সাম্য প্রতিষ্ঠা হবে?
– সুদ ভিত্তিক, দুর্নীতি ভিত্তিক, ফ্র্যাকশনাল রিজার্ভ ও অনৈতিক কর ভিত্তিক সমাজে যাকাত প্রতিষ্ঠা করলে আমরা ইসলামের স্বর্ণ যুগের অর্থনীতি পাবো তা অলীক কল্পনা। সুদ হচ্ছে আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ। আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত জাতি কোনদিন সেই পর্যায়ে পৌঁছতে পারবে না।